আর এম রিফাত,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: ফের মহাসড়কে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন জান্নাতুল নাইম অন্তু নামে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) এক শিক্ষার্থী। শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই শিক্ষার্থী ২০১৮-১৯ সেশনে অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্র এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যয়নরত।

জানা যায়, আহত ছাত্রী বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে প্রধান ফটকের বিপরীত পাশের দোকানগুলো থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে রাস্তা পার হচ্ছিল। রাস্তা পারাপারের সময় অটো ভ্যানের নিচে পড়ে যায় অন্তু। এসময় তার সামনের দুটি দাঁত ভেঙ্গে যায় এবং কোমড় ও হাটুতে গুরুতর আঘাত পায়। আহত অবস্থায় তাকে ইবির মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুষ্টিয়ায় সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাহেদ বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর উপর দিয়ে অটো চলে যাওয়ায় কোমড় ও হাঁটুতে গুরুতর আঘাত পেয়েছে। এবং সামনের দুটি দাঁত ভেঙে গেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে কোন ফ্রাকচার হয়েছে কিনা তার জন্য কুষ্টিয়ায় পাঠানো হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মহাসড়কে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় ‘আমার বোন আহত কেন? প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগান দিতে থাকে তারা। বিক্ষোভে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।    নামমাত্র স্পিডবেকারের পরিবর্তে শক্তিশালী স্পিডবেকার ও ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান তারা। প্রায় দেড় ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধের পর কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক আটকিয়ে রাখে। এখনো আন্দোলন চলমান। পরিস্থিতি সামাল দিতে উপস্থিত রয়েছেন সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক শরিফুল জুয়েল, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়।

এ বিষয় সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শোনার পর পরই আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার পর তারা অবরোধ তুলে নেয়।  শিক্ষার্থীদের দাবি গুলো কর্তৃপক্ষকে আমরা জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে চলস্ত ট্রাকের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র আহত হয়েছে।